Posts

Showing posts from 2021

ডায়াবেটিস মোকাবিলায় দারচিনি

Image
দারচিনি রান্নায় ব্যবহৃত সব থেকে পরিচিত মশলার মধ্যে অন্যতম। শুধুমাত্র স্বাদ বা গন্ধের জন্য নয়, বিভিন্ন ওষুধ সম্বন্ধীয় বৈশিষ্ট্যের জন্যেও দারচিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ‘সিনামালডিহাইড’ খাবারের গন্ধ ছাড়াও বিভিন্ন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ক্ষেত্রে কার্যকরী হয়ে ওঠে। ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে দারচিনি। এছাড়াও অ্যান্টি–অক্সিডান্ট হিসেবেও দারচিনি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। দারচিনির পুষ্টিগুণ এক চামচ দারচিনিতে সাধারণত যা যা পুষ্টিকর উপাদান থাকে, তা হলো- ক্যালরি– ৬.৪২ কার্বোহাইড্রেট– ২.১ গ্রাম ক্যালসিয়াম– ২৬.১ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম– ১.৫৬ মিলিগ্রাম ফসফরাস– ১১.২ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম– ১১.২ মিলিগ্রাম এছাড়াও কোলাইন, লাইকোপেনের মতো বিভিন্ন অ্যান্টি–অক্সিডান্ট যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যায় দারচিনিতে। দারচিনির ধরন মূলত দু ধরনের দারচিনি হয়: ১. সেইলন দারচিনি ২. চাইনিজ বা ক্যাশিয়া দারচিনি বলা হয়, সেইলন দারচিনি চাইনিজ দারচিনির থেকে অনেক বেশি কার্যকরী। নাম শুনেই বোঝা যায়, সেইলন দারচিনি শ্রীলঙ্কায় উদ্ভব, আর মূলত দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া অঞ্চলেই পাওয়া যায়। ডায়াবেটিসের ক্ষে...

হজমের সমস্যার জন্য কতবেল

Image
সুগন্ধযুক্ত কতবেল নারী-পুরুষ ও শিশুদের কাছে বেশ প্রিয় ফল। শক্ত খোলসযুক্ত ফলের ভেতরে ধূসর রঙের আঠালো শাঁস ও ছোট সাদা দানা থাকে। কতবেল টক ও মিষ্টি স্বাদযুক্ত হতে পারে। পাকা কতবেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষ, শর্করা, চর্বি, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি ও সি থাকে। কাচা মরিচ, লবণ ও চিনি মিশিয়ে সুস্বাদু আচার বানিয়ে খাওয়া হয় এটি।   পেট ভালো রাখে কতবেলে আছে ট্যানিন নামক উপাদান। যা দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া ও পেট ব্যথা ভালো করে। কাঁচা কতবেল ছোট এলাচ, মধু মিছিয়ে খেলে বদহজম দূর হয়। এছাড়া লিভার ও হার্টের জন্যও উপকারী। এক কথায় কতবেল পাইলসের প্রতিষেধক। রক্তস্বল্পতা দূর করে কতবেল রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। বুক ধড়ফড় ও রক্তের নিম্নচাপ রোধেও সহায়ক। মিছরির সঙ্গে কতবেল মিশিয়ে খেলে দেহে শক্তি বাড়ে ও রক্তস্বল্পতা দূর হয়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ কতবেলের খনিজ উপাদান ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। ডায়াবেটিসের আয়ূর্বেদী চিকিৎসায় এটি ব্যবহার হয়। গরম কম লাগে কতবেল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্নায়ুর শক্তি যোগায়। তাই এ ফলটি খেলে গরম কম লাগে। ত্বকের জ্বালা পোড়া কমাতে কতবেল মলম হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। কিডনির জন্য ভ...

পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা

Image
পেঁপেতে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে। কাঁচা, পাকা দুটোতেই। খাদ্যে পটাশিয়াম বেশি, সোডিয়াম তুলনায় অনেক কম বা নেই, ব্লাড প্রেসারের রোগীদের এমন সব খাবার খেতে বলেছেন চিকিৎসকরা। বাজারে অন্য যে কোনো সবজির তুলনায় কাঁচা পেঁপের দাম সবচেয়ে কম। সেই পেঁপেকে সবজি হিসেবে খুব কম মানুষ খায়। পাকা পেঁপের দাম একটু বেশি হলেও সবাই সেভাবে খায় না। পেঁপে হার্টের সুস্থতা রক্ষায় উপকারী, ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ হওয়া আটকায়, মল নির্গমন পথে ক্যান্সার হওয়া রোধ করে। ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের গবেষক-বিজ্ঞানী ডা. সুম্যান হেয়ায়াতি জানিয়েছেন, খাবারের মাধ্যমে শরীর যদি পর্যাপ্ত পটাশিয়াম না পায় তাহলেও ব্লাড প্রেসার হাই হয়ে যায়। তার আক্ষেপ, ডাক্তাররা সোডিয়াম ক্লোরাইড তথা লবণকেই হাই ব্লাড প্রেসারের জন্য দায়ী করেন, অথচ রোগীর রক্তে পটাশিয়ামের পরিমাপ করাটা জরুরি। পটাশিয়ামের ঘাটতি মেটাতে সেসব খেতে বলতে হবে যেগুলোয় সোডিয়াম কম, পটাশিয়াম বেশি। পেঁপেতে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যেমন ক্যারোটিন, ভিটামিন-বি, ফ্ল্যাভনয়েভ। পটাশিয়াম ছাড়াও ম্যাগনেশিয়াম থাকে। খাদ্যআঁশ, হজমকারক উৎসেচক পাপাইন, খানিকটা ভিটামিন-ই থাকে। পেঁপেতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন...

খালি পেটে পানি পানের উপকারিতা

Image
বলা হয়ে থাকে পানির অপর নাম জীবন। এটি বলার কারণ হচ্ছে— পানি আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ আর আমাদের শরীরের ৭০ শতাংশই পানি দিয়ে গঠিত। শরীরের প্রায় সব অঙ্গের স্বাভাবিক ও মসৃণ কার্যকারিতার জন্য পানি অপরিহার্য। সুস্থ থাকতে নিয়মিত অন্তত দুই লিটার পানি পান করা উচিত আমাদের। পানি আমাদের শরীরের জন্য প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। শরীরকে হাইড্রেট রাখতে ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধেও অনেক উপকারী হিসেবে কাজ করে পানি। আর পানি পানের সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায় সকালে খালি পেটে পানি করলে।  খালি পেটে পানি পানের উপকারিতা ১. বিপাক ত্বরান্বিত করে সকালে খালি পেটে পানি পান করলে তা বিপাকীয় হারকে প্রায় ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে। আর এটি করলে তা খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘমেয়াদে ওজন কমাতে সাহায্য করে। ২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরে তরল ভারসাম্য বজায় রাখতে পানি প্রয়োজনীয়। আর নিয়মিত সকালে খালি পেটে পানি পান করার অভ্যাস করলে তা আমাদের ইমিউন সিস্টেমের জন্য অনেক উপকারী হতে পারে। এটি করলে বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে। ৩. অন...

যে দৈনন্দিন অভ্যাসে হতে পারে ব্যাক পেইন

Image
ব্যাক পেইন বা পিঠের ব্যথা সাধারণত অল্প সময়ে হয় না। এটি দীর্ঘ সময়ের অভ্যাসের ফলেই হয়ে থাকে। আর বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার অ্যান্ড স্ট্রোক (এনআইএনডিএস) অনুসারে, জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ মানুষই তাদের জীবনের কোনো না কোনো সময়ে পিঠের ব্যথায় ভোগেন। আর পিঠের ব্যথা যখন দীর্ঘস্থায়ী হয়, তখন তা আপনার দৈনন্দিন জীবনেও অনেক খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই যেসব কারণে বা অভ্যাসে ব্যাক পেইন হতে পারে, সেগুলো যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া উচিত। আসুন জেনে নিই যে সাত দৈনন্দিন অভ্যাসে হতে পারে ব্যাক পেইন— ১. একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে বেশিক্ষণ বসে থাকলে একইভাবে বা একটি নির্দিষ্ট স্থানে বেশিক্ষণ বসে থাকলে আপনার বসার অবস্থান আপনার মেরুদণ্ডে চাপ দিতে পারে। ফলে ব্যাক পেইন হতে পারে। তাই এ সমস্যা এড়াতে সবসময় সোজা হয়ে বসতে হবে এবং একইভাবে বেশি সময় বসে থাকা যাবে না। ২. উঁচু জুতা আপনার ব্যাক পেইনের জন্য সবচেয়ে খারাপভাবে দায়ী কারণগুলোর অন্যতম একটি হচ্ছে— উঁচু জুতা পরা। এক ইঞ্চির বেশি উঁচু জুতা পরলে তা আপনার পায়ে ও মেরুদণ্ডে চাপ বৃদ্ধি করে, যা পরে ব্যা...

কাশির সঙ্গে রক্ত গেলে কী করবেন ?

Image
শীতকালে ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি লেগে থাকে। কফ জমে গেলে সেটি দীর্ঘদিন ভোগায়।  নানা ওষুধেও কাশি সহজে দূর হয় না। অনেকের কাশির সঙ্গে রক্তও যায়। যেটিকে রক্তকাশি বলা হয়। রক্তকাশি রোগী ও চিকিৎসক উভয়ের জন্যই একটি ভীতিকর লক্ষণ। এ রকম মনে হলে প্রথমেই কাশিতে রক্তের পরিমাণ দেখতে হবে। যদি ২৪ ঘণ্টায় ৫০০ মিলি বা তার বেশি রক্ত যায়, তাকে ম্যাসিভ বা বৃহদায়তন রক্তকাশি বলে।  এ ধরনের রোগীর মৃত্যুঝুঁকিও থাকে।  কফের সঙ্গে রক্ত গেলে আতঙ্কিত হওয়ারই কথা। কাশতে কাশতে রক্ত যাওয়া মানেই যক্ষ্মা- ধারণাটি কিন্তু ঠিক নয়। যদিও আমাদের দেশে যক্ষ্মার হার অনেক বেশি এবং কফের সঙ্গে রক্ত গেলে যক্ষ্মা পরীক্ষা করা জরুরি।  তবু ভুলে গেলে চলবে না যে, যক্ষ্মা ছাড়াও এ সমস্যার আরও নানা কারণ থাকতে পারে। দীর্ঘদিনের কাশি, প্রচুর কফ নিঃসরণ, সঙ্গে রক্তপাত, যক্ষ্মা বা ফুসফুসে প্রদাহের পুরনো ইতিহাস থাকলে ব্রংকিয়েকটেসিস নামের এ ধরনের রোগের কথা ভাবা হয়। সাধারণ এক্স-রের চেয়ে বুকের সিটি স্ক্যানে এ রোগ ধরা পড়ে ভালো।  সাধারণ নিউমোনিয়াতেও হঠাৎ অনেক জ্বর, বুকব্যথা ও কাশির সঙ্গে মরিচা রঙের কফ হতে পারে। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, দুর্গন্ধয...

শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমে গেলে কী হয় ?

Image
ক্যালসিয়াম হচ্ছে আমাদের শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গসমূহকে সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে খনিজ ও ভিটামিন। আর এ কারণেই সঠিক ও সুষম খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। ক্যালসিয়ামের অভাবে বিভিন্ন রোগ ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। আর দীর্ঘমেয়াদি এটির ঘাটতির কারণে দাঁতের পরিবর্তন, মস্তিষ্কে পরিবর্তন, অস্টিওপোরোসিসের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণে হাইপোক্যালসেমিয়া হয়ে থাকে, যা ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রোগ নামেও পরিচিত। এটি সাধারণত রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কম থাকলে ঘটে থাকে। প্রথমে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এসব সমস্যার চিকিৎসা না নিলে বা ক্যালসিয়ামের ঘাটতি অনবরত হতে থাকলে সেটি জীবনের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। তাই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তার প্রতিকার নিতে হবে। আসুন জেনে নিই ক্যালসিয়ামের ঘাটতিতে কী হয়— ১. পেশির সমস্যা ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণে পেশির বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। পেশিতে ব্যথা, খিঁচুনি এবং নড়াচড়া করার সময় উরু ও বাহুতে ব্যথা, হাত-বাহু-পা এবং পায়ের পাশাপা...

উট সম্পর্কে বিস্ময়কর তথ্য

Image
"উটের দিকে তাকিয়ে দেখেছ, কীভাবে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে ?” (সূরা গাশিয়াহ ১৭) ১) উট প্রকৃতির এক মহাবিস্ময়, এটি ৫৩ ডিগ্রি গরম এবং মাইনাস-১ ডিগ্রি শীতেও টিকে থাকে। ২) মরুভূমির উত্তপ্ত বালুর উপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা পা ফেলে রাখে। ৩) কোনো পানি পান না করে মাসের পর মাস চলে। ৪) মরুভূমির বড় বড় কাঁটাসহ ক্যাকটাস খেয়ে ফেলে। ৫) দেড়শ কেজি ওজন পিঠে নিয়ে শত মাইল হেঁটে পার হয়। উটের মত এত অসাধারণ ডিজাইনের প্রাণী প্রাণীবিজ্ঞানীদের কাছে এক মহাবিস্ময়। মানুষসহ বেশিরভাগ স্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহের তাপমাত্রা সাধারণত ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট) এর আশেপাশে থাকে। যদি দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বেড়ে ৩৮.৫ ডিগ্রির (১০২ ফা) বেশি হয়ে যায়, তখন অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর ক্ষতি হতে থাকে। ৪০ ডিগ্রির (১০৪ ফা) বেশি হয়ে গেলে লিভার, কিডনি, মস্তিষ্ক, খাদ্যতন্ত্র ব্যাপক ক্ষতি হয়। ৪১ ডিগ্রি (১০৫ ফা) তাপমাত্রায় শরীরের কোষ মরে যেতে শুরু করে। একারণেই যখন স্তন্যপায়ী প্রাণীদের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেড়ে যায়, তখন শরীর ঘেমে বাড়তি তাপ বের করে দিয়ে ঠাণ্ডা হয়ে যায়। কিন্তু উটের জন্য এভাবে পানি অপচয় করা বিলাসিতা। কারণ ম...

বিশ্বের সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবার

Image
কোন খাবারে পুষ্টি নেই? এ প্রশ্নের উত্তর দেয়া সহজ নয়, কারণ আমরা যেসব ফল বা শাকসবজি খেয়ে থাকি তাদের প্রত্যেকটিতে কিছু না কিছু পুষ্টি রয়েছে। কিন্তু কিছু খাবারে পুষ্টির পরিমাণ এত বেশি যে এগুলো সুপারফুড হিসেবে খ্যাত হয়েছে। এসব পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলে দেহের সমগ্র স্বাস্থ্যের উন্নয়ন হয় ও রোগ থাকে বহুদূরে। যুক্তরাজ্যের গবেষকরা তাদের গবেষণায় এমনই কিছু খাবারের তালিকা করেছেন। এ প্রতিবেদনে বিজ্ঞানের আলোকে বিশ্বের সবচেয়ে পুষ্টিকর কিছু খাবার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। অ্যালমন্ড ও আখরোট : সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবারের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে এই দুটি বাদাম। ফ্যাটি অ্যাসিডের সবচেয়ে ভালো উৎস। হার্ট ও রক্তনালীর স্বাস্থ্য উন্নত করে। আতাফল: সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবারের দ্বিতীয় তালিকায় রয়েছে আতাফল। এতে রয়েছে চিনি, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২ এবং পটাসিয়াম। বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ: সামুদ্রিক কই বা পোয়া মাছ, কড মাছ, নীল পাখনার টুনা সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবারের মতো অন্যতম। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের স্যামন, ইল, সামুদ্রিক চিতল বা ফ্ল্যাট ফিশ পুষ্টিগুণের জন্য এই তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। চিয়া সিড বা তিসি বীজ...

সিস্ট কী ? এর চিকিৎসা পদ্ধতি কেমন ?

Image
সিস্ট কী বার্থোলিন গ্ল্যান্ড বা গ্রন্থি মেয়েদের ভ্যাজাইনা বা যোনিদ্বারের পাশে ২ দিকে অবস্থিত মটরদানার মত আকারের দুটি গ্ল্যান্ড। এদের কাজ হলো যৌন উত্তেজনা বা মিলনের সময় লুব্রিকেশনের জন্য রস নিঃসরণ করা। অনেক সময় চোট লাগা বা অন্য কোনো কারণে এই গ্ল্যান্ডের মুখটি ব্লক হয়ে গেলে, এর নিঃসৃত রস ভেতরেই জমে গ্ল্যান্ডটি আস্তে আস্তে ফুলে ওঠে। যেহেতু এতে কোনো ব্যথা হয়না তাই যতক্ষন না ফোলা খুব বড় হয়ে যাচ্ছে বা তাতে ইনফেকশন/সংক্রমণ না হচ্ছে ততক্ষণ রোগী নিজেও টের পায় না। একেই বলে বার্থোলিন সিস্ট। নীচে ছবিতে দেখুন: সিস্ট এর চিকিৎসা পদ্ধতি  সিস্ট অবস্থায় চিকিৎসা করলে সহজে সেরে যায়। অনেকদিন চিকিৎসা না করে ফেলে রাখলে সিস্টে ইনফেকশন হয়ে অ্যাবসেস হয়ে যেতে পারে। ভেতরে পুঁজ জমে, লাল হয়ে ফুলে ওঠে, সঙ্গে অসহ্য যন্ত্রণা-হাঁটতেও সমস্যা হয়। এই অবস্থায় সার্জারি ছাড়া সারা মুশকিল। যখন সিস্ট অবস্থায় থাকে তখন গরম সেঁক, বা সিটজ (Sitz) বাথ দেওয়া যেতে পারে। এতে বাথটাবে বা গামলায় গরম জল ভরে, কখনো কিছু সুথিং ওষুধ দিয়ে নির্দিষ্ট সময় বসে থাকতে হয়। অ্যাবসেস হলে Incision and drainage করা যেতে পারে, যাতে সার্জেন স্ক্যালপেল দ...

খাবারের পর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ৭ অভ্যাস

Image
কর্মব্যস্ত দিনের শেষে সবাই ক্লান্ত থাকেন। শরীরের কার্যক্ষমতা কমে আসে। সারা দিন পরিশ্রমের পর সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্রামের খোঁজে ছটফট করতে থাকে মন ও শরীর। এজন্য বিশেষজ্ঞরা রাতে হালকা খাবারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কেননা, রাতে ভারী খাবার খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে। শরীরকে সুস্থ রাখতে রাতের খাবারের পরও কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। আর সেই সব নিয়ম মেনে না চললে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। নিয়মগুলো জেনে নেওয়া যাক- অফিসে সারা দিনের খাটুনির পর দিন শেষে বাসায় ফিরে রাতের খাবার তৈরি করতে বা খাবার খাওয়ার আগে ছোট্ট একটা ড্রিংকস করে তৃপ্তি খোঁজে থাকেন অনেকে। রাতের খাবার খাওয়ার আগে ড্রিংকস করা মোটেও উচিত নয়। অ্যালকোহলের পর খাবার খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। আর অ্যালকোহলের পর ফ্যাটি ফুড খাওয়ার ঝোঁক বেড়ে যাওয়া ভালো লক্ষণ নয়। এতে স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হয়। রাতে খাবার খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিন। তা না হলে সারাদিনে শরীরে পানির অভাব থাকলে মাথার যন্ত্রণা, কনস্টিপেশন এবং ক্লান্তির মতো সমস্যা হতে পারে। পানি কম খাওয়ার ফলে হজমে সমস্যা তৈরি হয়ে ওজন বাড়তে পারে। খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প...

পা ফাটা দূর করতে পেঁয়াজের কার্যকারিতা

Image
শীতে অনেকেরই পায়ের গোড়ালি ফেটে থাকে। কেউ কেউ তো গোড়ালি ফাটার পরও লোকলজ্জায় তা কারও সঙ্গে শেয়ার করেন না। কিন্তু ঠিকই গোপনে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে থাকেন। সাধারণত শীতকালে আবহাওয়ার জন্য ত্বকও শুষ্ক হয়ে যায়। এ কারণে শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতো পায়ের গোড়ালিও ফেটে যায়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন থাকলে অনেকের ইনফেকশনও হয়ে যায়। তাই নিয়মিত ত্বকের পাশাপাশি পায়েরও যত্ন নিতে হয়।   অনেকে গরম পানিতে পা ধুয়ে থাকে। শুধু গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখলেই কি সমাধান হবে এই সমস্যার। ঘরোয়াভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় হচ্ছে পেঁয়াজ। পায়ের গোড়ালি সুস্থ রাখার জন্য পেঁয়াজের ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিন- ত্বকের শুষ্কতা থেকে রক্ষা : শীতকালে ত্বক শুষ্ক হওয়ার মতোই ফুসকুড়ির সমস্যাও বৃদ্ধি পায়। এ থেকে মুক্তি পেতে পেঁয়াজ ব্যবহার করা যেতে পারে। পেঁয়াজে থাকা ফসফরাস, দস্তা, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রন ঠাণ্ডা রাখে শরীরকে। এছাড়াও শরীরে থাকা অতিরিক্ত টক্সিন দূর করে এই পেঁয়াজ। পাশাপাশি রক্ত প্রবাহ ঠিক থাকে। ত্বক কোমল রাখে : পেঁয়াজে ভিটামিন এ, সি এবং ই রয়েছে। এসব উপাদান প্রাকৃতিকভাবে কোমল রাখে ত্বককে। ভিটামিন-সি ত্বককে সুস্থ রাখে এবং ভিটাম...

লেবু খাওয়ার উপকারিতা

Image
গরমে যখন তীব্র দাবদাহে ক্লান্ত, ঠিক তখনই এক গ্লাস লেবুর শরবত হলে প্রাণটা জুরিয়ে যায়। শুধু শরবত হিসেবেই নয়, ওজন কমাতেও অনেকেই সকালে লেবুর শরবত খান। কিন্তু জানেন কি লেবুর শরবত শুধু ওজন কমানো নয়, আরও অনেক উপকার পাচ্ছেন আপনি? রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে পেট পরিষ্কার রাখার মতো প্রচুর উপকার করে লেবু। এছাড়াও লেবুর রসের দারুণ কিছু উপকার রয়েছে।   জেনে নিন কী কী কাজে লাগে এই সহজলভ্য ফলের রস- ১। লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। একে অ্যাসকরবিক অ্যাসিডও বলা হয়। লেবুর রস কোলাগেন তৈরিতে সাহায্য করে। চামড়ায় ভাঁজ পড়া থেকে রক্ষা করে এই কোলাগেন। বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না এই কোলাগেন। ২। ভিটামিন বি কমপ্লেক্সে থাকা থিয়ামিন ও রিবোফ্লাবিন শরীরে এনার্জি তৈরি করে। শরীরে কোষের বৃদ্ধি ও কোষকে কার্যক্ষম করে তুলতে সাহায্য করে লেবুর রস। ৩। খাবারে থাকা সালমোনেলা জীবাণুকে মারতে সাহায্য করে লেবুর রস। এই লেবুর রসের সঙ্গে অল্প ভিনিগার মিশিয়ে বাথরুমে ঢাললে ১৫ মিনিটে তা পরিষ্কার হয়ে যায়। ৪। লেবুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে ক্যানসার হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে। লিভার, হাড়, স্টমাক, ব্রেস্ট ও কোলন ক্...

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিভাবে বাড়াবেন

Image
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিভাবে বাড়াবেন কোভিডের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে ক্লান্ত পৃথিবী। যে লড়াই নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পরেও জারি থাকে বহুদিন। তবে আপনি একা নন। সেই লড়াইয়ে আপনার সঙ্গে আছে আনন্দবাজার ডিজিটাল। শরীরচর্চা, মনের যত্ন এবং খাওয়া-দাওয়ার নতুন গাইড ‘ভাল থাকুন’। কোভিডের চিকিৎসায় এমন অনেক ওষুধ ব্যবহার করা হয় যা আমাদের স্বাভাবিক রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই রোগ সেরে গেলে ধীরে ধীরে সেটা ফের গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে। নিয়ম করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিশেষ করে আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়বেটিসের মতো কোনও অসুখ থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রুটিন তৈরি করুন। তা ছাড়া কোভিডের পর স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে কয়েকটি নিময় মেনে চলতে হবে। সেগুলো জেনে নিন। বিশ্রাম নিন কোভিডের পর ক্লান্তি থেকে যায় বহুদিন। তাই বিশ্রামের প্রয়োজন। খুব তাড়াতাড়ি জোর করে অনেক পরিশ্রমের কাজ করার চেষ্টা করবেন না। একটু জিরিয়ে নিন। ভাল করে টানা ঘুম দিন। রোগমুক্ত হওয়ার পরও অন্তত এক সপ্তাহ সম্পূর্ণ বিশ্রাম করাই ভাল। এতে আরও দ্রুত স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবেন। পুষ্টিকর খাবার কোভিডের পর কী খেলে শরীরে বল ফিরে পাবেন, এই নিয়ে...

জীবনে খারাপ সময়ে ভেঙে না পড়ে এই ১০টি কথা মনে রাখুন, সফল হবেন

সাফল্য অর্জনের দুর্গম পথ পাড়ি দেওয়ার সময় আমরা এমন অবস্থার সম্মুখীনও হই যখন আমাদের সাথে সব কিছু খারাপ হয়। অবস্থাটা খানিকটা এমন “অভাগা যেদিকে চায় সাগর শুকিয়ে যায়!” আর জীবনের এই কঠিন সময়টাতে আপনি যদি নিজেকে সামলে রাখতে না পারেন তাহলে এই অবস্থার মধ্য থেকে কখনোই বের হয়ে আসতে পারবেন না। তাই আজ আপনাদের বলবো আপনার সাথে যখন সব কিছু খারাপ আর ভুল হয় তখন যে বিষয়গুলো সব সময় মনে রাখবেন। ১. জীবনে সবকিছু সাময়িক: বৃষ্টি ঝরতে তো সবাই দেখেছেন। কখনো কি এমনটা দেখেছেন আজীবনের জন্য বৃষ্টি ঝরা শুরু হয়েছে? ঠিক একইভাবে জীবনে কোনকিছুই দীর্ঘস্থায়ী হয়না। তাই আপনার জীবনের খারাপ সময়গুলোতে দিশেহারা হবেন না। বিশ্বাস করুন যে এই সময়ের শেষও আছে। ২. দুশ্চিন্তা ও দোষারোপ কোনটাই কিছু বদলাতে পারেনা: এমন অনেকেই আছেন যে তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটলেই তারা ঠিক কাউকে বা নিজেকে দোষারোপ করবে। কিংবা দুশ্চিন্তা করে খারাপ সময় আরও খারাপ করে তুলবে। কথা হচ্ছে আপনি একটি বারও কি ভেবে দেখেছেন আপনার এই আচরণ আপনার সমস্যা সমাধানে কতটুকু সাহায্য করেছে? তাই আর দোষারোপ বা দুশ্চিন্তা নয় বরং এই অবস্থায় নিজেকে সামলে রাখুন। ৩. কিছু...

কমলালেবু কোলেস্টেরল কমায় ও হার্টের অসুখ নিয়ন্ত্রণ করে

Image
কমলালেবু হলো শীতের অন্যতম ফল। উজ্জ্বল কমলা রঙের ত্বকের এই ফলটি ছাড়া শীত যেন ভাবাই যায় না। বাড়িতে বসে ব্রেকফাস্টে বা পিকনিকে গিয়ে দুপুরের রোদে বসে খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে কমলালেবু খাওয়ার ব্যাপারই আলাদা। তবে শুধু উপভোগের ব্যাপারই নয়। কমলালেবু রীতিমতো উপকারী এক ফল। কোভিডের এই আবহে ইমিউনিটি’র জন্য অনেক কিছুই খাওয়ার চল আছে। কিন্তু কমলালেবুও যে ইউমিনিটি বাড়াবার অন্যতম হাতিয়ার তা কি আমরা জানি? পুষ্টি বিশেষজ্ঞেরা এখন এই বিষয়টার উপর জোর দিচ্ছেন। ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে বা কমাতে কমলালেবুর কোনও বিকল্প নেই। নিউ জেনারেশন ওয়েটলসের ব্যাপারে খুবই স্পর্শকাতর। তারা অনেক কিছুই তাদের খাদ্যতালিকায় রাখেন। শীতভর অনায়াসে তারা তাদের মেনুতে কমলালেবু রাখতে পারে। কমলালেবু ভিটামিন সি-তে ভরা। ফলে সর্দি-কাশির নিরাময়ে কমলালেবুর জুড়ি নেই। কমলালেবু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এই লেবু ভিটামিন বি৬-য়ে ভরপুর। পাশাপাশি কোলেস্টেরলও কমায়। ফলে কমলালেবু প্রকারান্তরে হৃদযন্ত্রের দেখভালও করে। নিয়মিত কমলালেবু খেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কিডনিতে স্টোন জমার প্রবণতা কমে । কমলালেবু অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর। এই লেবু ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে ...

শীতের সবজির উপকারিতা

Image
শীতের সবজির উপকারিতা হেমন্তের কোমল হিমেল হাওয়া যেমন শীতের আবেশ জাগাচ্ছে, তেমনি বাজারে থরে-থরে সাজানো শীতের সবজিও রসনাবিলাসীদের রসনাতৃপ্ত করার জন্য প্রস্তুত। সবজি খেতে আমরা কম বেশি সবাই খুব পছন্দ করি। আর শীতকালীন সবজির তো কথায় নাই। কেননা সবজির জন্য সবচেয়ে ভালো সময় হলো শীতকাল। আর আমাদের দেশে শীতকালে প্রায় সব সবজি পাওয়া যায়। কিন্তু আপনি জানেন কী এই শাকসবজিগুলো থেকে আমরা কী কী উপাদান পাই কিংবা এর উপকারিতা কী? আপনি জানেন কী কিছু কিছু সবজিতে এমন উপাদান আছে; যা কিনা আপনার ক্যান্সার প্রতিরোধক? আবার কিছু সবজি আপনার উচ্চরক্ত চাপ কমিয়ে জটিল রোগ থেকে আপনাকে মুক্ত রাখে? যদি আপনি না জানেন কিংবা আপনি জানতে আগ্রহী হন তাহলে জেনে নিন কিছু জনপ্রিয় শীতকালীন সবজির উপকারিতা…। শীতে যত ভিন্ন রকম সবজি পাওয়া যায়, সারা বছরজুড়ে তার কিয়দাংশ পাওয়া যায় না। আমাদের দেশে শীতকালীন শাক-সবজির বীজ ঢাকাসহ প্রায় প্রতিটি জেলা ও উপজেলা শহরের বিভিন্ন বীজ ভাণ্ডার থেকে সংগ্রহ করা যায়। আপনি চাইলে এই সবজির বীজ খুব সহজেই সংগ্রহ করতে পারেন এবং সবজির চাষ করতে পারেন। আমাদের দেশে শীতের সবজি বলতে এক সময় জনপ্রিয় ছিল ফুলকপি, বাঁধাক...

বাংলা নববর্ষের ইতিহাস

বাংলা নববর্ষের ইতিহাস পুরোনোকে ফেলে বছর ঘুরে আবারও চলে এলো পহেলা বৈশাখ। তবে এবারের বর্ষ বরণ প্রতিবারের ন্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করা হবে না। গাওয়া হবে না গান রমনার বটমূলে, যাওয়া হবে না বৈশাখী মেলায়। তাই বলে নতুন বছর পূর্ব দিগন্তের লাল সূর্য বর্ষ বরণের গান ছাড়া কি বৈশাখ মাস আনবে না? তা তো কোনোভাবেই নয়! ছোটবেলায় পড়ে ছিলেন না- “সময় এবং স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না“? তাই পূব দিগন্তে রাঙা আলো নিয়ে আগামীকালও নতুন বছর শুরু হবে। দেখতে দেখতে সময় কত দ্রুত চলে যায়। ভাবছেন গৃহবন্দি বর্ষ বরণ কেমন করে হবে, তাই তো? মন খারাপের কারণ নেই। সুন্দর সময় কাঁটাবার কিছু আইডিয়া দিবো। আর তার সাথে জানিয়ে দিবো বাংলা নববর্ষের ইতিহাস সম্পর্কে কিছু কথা। কবে থেকে, কী কারণে ও কিভাবে এই দিনটি আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেলো, রীতি-নীতি নিয়ে সাজিয়েছি আজকের লেখাটি। বাংলা নববর্ষের ইতিহাস ও এটি উদযাপনের রীতি-নীতি  বাংলা পঞ্জিকার প্রবর্তক ও মাসের নামকরণ বাংলা নববর্ষ আমাদের সংস্কৃতিতে কিভাবে এলো তা জানতে হলে আমাদের অবশ্যই বাংলা নববর্ষের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। পহেলা বৈশাখ বা পয়লা বৈশাখ পালন করা হয় বাংলা বছরের...

দুশ্চিন্তা হওয়ার কারণ এবং এর থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

অতিচিন্তা ও ভাবুক এই শব্দ দুইটি কিন্তু এক নয়। আমরা যারা আমাদের এই অহেতুক দুশ্চিন্তা করার সমস্যাটিকে সাধারণ ভাবুক হয়ে যাওয়া ভাবছি। তারা কিন্তু অনেক বড় ভুল করছি। শৈল্পিক মনের মানুষেরা যখন তখন ভাবুক হয়ে যেতে পারেন, যখন তখন কল্পনার সাগরে ডুব দিতে পারেন। কিন্তু যারা সবসময়েই চিন্তাযুক্ত থাকেন তাদের সমস্যাটা একদমই আলাদা। সাধারণত কল্পনাবিলাসী মন মানসিকতার মানুষেরা কল্পনাপ্রবণ হয়ে থাকেন। তারা তাদের ভাবনা বিলাসী মনে কল্পনার রঙ মিশিয়ে ও কবিত্বতা দিয়ে স্বপ্নের জগত তৈরি করে নেন। কারণ এরা শিল্পী মনের অধিকারী হয়ে থাকেন। কিন্তু যারা সারাক্ষণই অতি ক্ষুদ্র ব্যপার থেকে শুরু করে অতি বৃহৎ ব্যপার পর্যন্ত সকল ব্যপারেই অহেতুক চিন্তা করেন তাদের বেশির ভাগই নানা রকম মানসিক ও শারীরিক সমস্যায় ভোগেন। বেশির ভাগ সময়টাতেই চিন্তামগ্ন থাকার কারণে তারা ঠিকমতো ঘুমাতে পারেন না। কেননা ঘুমের মধ্যেও এদের মস্তিষ্ক চিন্তামগ্ন থাকে। মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায় না। তখন মানুষ ব্রেইন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, উচ্চরক্ত চাপ ও ডায়বেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়। অকারণ চিন্তা, অহেতুক কল্পনা যারা করেন এটা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। অহেতুক...

আমলকি যেসকল রোগের উপকার করে

আমলকির উপকারিতা আমলকি টক আর তেতো স্বাদের ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল। আমরা কম বেশি অনেকেই আমলকি পছন্দ করি। এর স্বাদ প্রথমে কষটে লাগলেও খাওয়া শেষে মুখে মিষ্টি ভাব আসে। আমলকি খেলে মুখে রুচি বাড়ে। স্কার্ভি বা দন্তরোগ সারাতে টাটকা আমলকির জুড়ি নেই। এছাড়া লিভার, জন্ডিস, পেটের পীড়া, সর্দি, কাশি ও রক্তহীনতার জন্যও খুবই উপকারী। আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। বিভিন্ন রোগব্যাধি দূর করা ছাড়াও রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তুলতেও আমলকি দারুণ সাহায্য করে। তাছাড়া আমলকির ভিটামিন সি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা শরীরের বিভিন্ন ক্ষতিকর মুক্ত মৌলগুলোর (ফ্রি রেডিকেল) প্রভাব থেকে রক্ষা করে।   আমলকি যেসকল রোগের উপকার করে- আমলকি একটি ফল যা আমাদের অনেক দিক দিয়ে উপকার করে। বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ও অনেক সমস্যার সমাধান দেয়। আর তাই আমলকির গুনাগুন সম্পর্কে জানতে হবে। ১। অতিরিক্ত বমি বন্ধ করতে সাহাযয় করে। ২। আমলকি আমাদের রুচি বাড়ায়। ৩।হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের উপকার করে। ৪। আমলকি দাত, চুল ও ত্বক ভাল রাখতে কাজ করে। ৫। আমলকি কেন্দ্রিয় স্নায়ুতন্ত্রের কাজ করে। ৬। বহুম...

৮০ শতাংশ অপরিণত হৃদরোগ, স্ট্রোক ও ডায়াবেটিস এবং ৪০ ভাগ ক্যান্সার প্রতিরোধযোগ্য

উন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই এখন চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে গঠিত হচ্ছে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন। উন্নত দেশগুলোর আদলে বাংলাদেশেও হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গঠন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ২০১১ সালে প্রণীত জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি বাস্তবায়নেও হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গঠনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। আর এই হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশনের অর্থায়নের জন্য প্রাণঘাতী তামাকজাত দ্রব্যের ওপর স্বাস্থ্য কর (সারচার্জ) আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চলতি অর্থবছরে (২০১৪- ২০১৫) সালের বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর ১% স্বাস্থ্য কর (সারচার্জ) আরোপ করা হয়েছিল। এছাড়া পরিবেশ দূষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরও ১ শতাংশ কর আরোপ করা হয়। উভয় খাত থেকে প্রাপ্ত অর্থ এখনও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে রয়েছে। যা এখনও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগে জমা হয়নি। আর এই আদায়কৃত অর্থ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে না পৌঁছানোর কারণে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গঠন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি সংশ্লিষ্ট সূত্রের। সূত্র জানায়, হেলথ প্রমোশনের মূল কাজ হবে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণে পরা...