Posts

Showing posts from December 5, 2021

ডায়াবেটিস মোকাবিলায় দারচিনি

Image
দারচিনি রান্নায় ব্যবহৃত সব থেকে পরিচিত মশলার মধ্যে অন্যতম। শুধুমাত্র স্বাদ বা গন্ধের জন্য নয়, বিভিন্ন ওষুধ সম্বন্ধীয় বৈশিষ্ট্যের জন্যেও দারচিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ‘সিনামালডিহাইড’ খাবারের গন্ধ ছাড়াও বিভিন্ন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ক্ষেত্রে কার্যকরী হয়ে ওঠে। ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে দারচিনি। এছাড়াও অ্যান্টি–অক্সিডান্ট হিসেবেও দারচিনি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। দারচিনির পুষ্টিগুণ এক চামচ দারচিনিতে সাধারণত যা যা পুষ্টিকর উপাদান থাকে, তা হলো- ক্যালরি– ৬.৪২ কার্বোহাইড্রেট– ২.১ গ্রাম ক্যালসিয়াম– ২৬.১ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম– ১.৫৬ মিলিগ্রাম ফসফরাস– ১১.২ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম– ১১.২ মিলিগ্রাম এছাড়াও কোলাইন, লাইকোপেনের মতো বিভিন্ন অ্যান্টি–অক্সিডান্ট যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যায় দারচিনিতে। দারচিনির ধরন মূলত দু ধরনের দারচিনি হয়: ১. সেইলন দারচিনি ২. চাইনিজ বা ক্যাশিয়া দারচিনি বলা হয়, সেইলন দারচিনি চাইনিজ দারচিনির থেকে অনেক বেশি কার্যকরী। নাম শুনেই বোঝা যায়, সেইলন দারচিনি শ্রীলঙ্কায় উদ্ভব, আর মূলত দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া অঞ্চলেই পাওয়া যায়। ডায়াবেটিসের ক্ষে...

হজমের সমস্যার জন্য কতবেল

Image
সুগন্ধযুক্ত কতবেল নারী-পুরুষ ও শিশুদের কাছে বেশ প্রিয় ফল। শক্ত খোলসযুক্ত ফলের ভেতরে ধূসর রঙের আঠালো শাঁস ও ছোট সাদা দানা থাকে। কতবেল টক ও মিষ্টি স্বাদযুক্ত হতে পারে। পাকা কতবেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষ, শর্করা, চর্বি, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি ও সি থাকে। কাচা মরিচ, লবণ ও চিনি মিশিয়ে সুস্বাদু আচার বানিয়ে খাওয়া হয় এটি।   পেট ভালো রাখে কতবেলে আছে ট্যানিন নামক উপাদান। যা দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া ও পেট ব্যথা ভালো করে। কাঁচা কতবেল ছোট এলাচ, মধু মিছিয়ে খেলে বদহজম দূর হয়। এছাড়া লিভার ও হার্টের জন্যও উপকারী। এক কথায় কতবেল পাইলসের প্রতিষেধক। রক্তস্বল্পতা দূর করে কতবেল রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। বুক ধড়ফড় ও রক্তের নিম্নচাপ রোধেও সহায়ক। মিছরির সঙ্গে কতবেল মিশিয়ে খেলে দেহে শক্তি বাড়ে ও রক্তস্বল্পতা দূর হয়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ কতবেলের খনিজ উপাদান ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। ডায়াবেটিসের আয়ূর্বেদী চিকিৎসায় এটি ব্যবহার হয়। গরম কম লাগে কতবেল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্নায়ুর শক্তি যোগায়। তাই এ ফলটি খেলে গরম কম লাগে। ত্বকের জ্বালা পোড়া কমাতে কতবেল মলম হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। কিডনির জন্য ভ...

পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা

Image
পেঁপেতে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে। কাঁচা, পাকা দুটোতেই। খাদ্যে পটাশিয়াম বেশি, সোডিয়াম তুলনায় অনেক কম বা নেই, ব্লাড প্রেসারের রোগীদের এমন সব খাবার খেতে বলেছেন চিকিৎসকরা। বাজারে অন্য যে কোনো সবজির তুলনায় কাঁচা পেঁপের দাম সবচেয়ে কম। সেই পেঁপেকে সবজি হিসেবে খুব কম মানুষ খায়। পাকা পেঁপের দাম একটু বেশি হলেও সবাই সেভাবে খায় না। পেঁপে হার্টের সুস্থতা রক্ষায় উপকারী, ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ হওয়া আটকায়, মল নির্গমন পথে ক্যান্সার হওয়া রোধ করে। ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের গবেষক-বিজ্ঞানী ডা. সুম্যান হেয়ায়াতি জানিয়েছেন, খাবারের মাধ্যমে শরীর যদি পর্যাপ্ত পটাশিয়াম না পায় তাহলেও ব্লাড প্রেসার হাই হয়ে যায়। তার আক্ষেপ, ডাক্তাররা সোডিয়াম ক্লোরাইড তথা লবণকেই হাই ব্লাড প্রেসারের জন্য দায়ী করেন, অথচ রোগীর রক্তে পটাশিয়ামের পরিমাপ করাটা জরুরি। পটাশিয়ামের ঘাটতি মেটাতে সেসব খেতে বলতে হবে যেগুলোয় সোডিয়াম কম, পটাশিয়াম বেশি। পেঁপেতে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যেমন ক্যারোটিন, ভিটামিন-বি, ফ্ল্যাভনয়েভ। পটাশিয়াম ছাড়াও ম্যাগনেশিয়াম থাকে। খাদ্যআঁশ, হজমকারক উৎসেচক পাপাইন, খানিকটা ভিটামিন-ই থাকে। পেঁপেতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন...

খালি পেটে পানি পানের উপকারিতা

Image
বলা হয়ে থাকে পানির অপর নাম জীবন। এটি বলার কারণ হচ্ছে— পানি আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ আর আমাদের শরীরের ৭০ শতাংশই পানি দিয়ে গঠিত। শরীরের প্রায় সব অঙ্গের স্বাভাবিক ও মসৃণ কার্যকারিতার জন্য পানি অপরিহার্য। সুস্থ থাকতে নিয়মিত অন্তত দুই লিটার পানি পান করা উচিত আমাদের। পানি আমাদের শরীরের জন্য প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। শরীরকে হাইড্রেট রাখতে ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধেও অনেক উপকারী হিসেবে কাজ করে পানি। আর পানি পানের সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায় সকালে খালি পেটে পানি করলে।  খালি পেটে পানি পানের উপকারিতা ১. বিপাক ত্বরান্বিত করে সকালে খালি পেটে পানি পান করলে তা বিপাকীয় হারকে প্রায় ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে। আর এটি করলে তা খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘমেয়াদে ওজন কমাতে সাহায্য করে। ২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরে তরল ভারসাম্য বজায় রাখতে পানি প্রয়োজনীয়। আর নিয়মিত সকালে খালি পেটে পানি পান করার অভ্যাস করলে তা আমাদের ইমিউন সিস্টেমের জন্য অনেক উপকারী হতে পারে। এটি করলে বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে। ৩. অন...

যে দৈনন্দিন অভ্যাসে হতে পারে ব্যাক পেইন

Image
ব্যাক পেইন বা পিঠের ব্যথা সাধারণত অল্প সময়ে হয় না। এটি দীর্ঘ সময়ের অভ্যাসের ফলেই হয়ে থাকে। আর বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার অ্যান্ড স্ট্রোক (এনআইএনডিএস) অনুসারে, জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ মানুষই তাদের জীবনের কোনো না কোনো সময়ে পিঠের ব্যথায় ভোগেন। আর পিঠের ব্যথা যখন দীর্ঘস্থায়ী হয়, তখন তা আপনার দৈনন্দিন জীবনেও অনেক খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই যেসব কারণে বা অভ্যাসে ব্যাক পেইন হতে পারে, সেগুলো যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া উচিত। আসুন জেনে নিই যে সাত দৈনন্দিন অভ্যাসে হতে পারে ব্যাক পেইন— ১. একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে বেশিক্ষণ বসে থাকলে একইভাবে বা একটি নির্দিষ্ট স্থানে বেশিক্ষণ বসে থাকলে আপনার বসার অবস্থান আপনার মেরুদণ্ডে চাপ দিতে পারে। ফলে ব্যাক পেইন হতে পারে। তাই এ সমস্যা এড়াতে সবসময় সোজা হয়ে বসতে হবে এবং একইভাবে বেশি সময় বসে থাকা যাবে না। ২. উঁচু জুতা আপনার ব্যাক পেইনের জন্য সবচেয়ে খারাপভাবে দায়ী কারণগুলোর অন্যতম একটি হচ্ছে— উঁচু জুতা পরা। এক ইঞ্চির বেশি উঁচু জুতা পরলে তা আপনার পায়ে ও মেরুদণ্ডে চাপ বৃদ্ধি করে, যা পরে ব্যা...

কাশির সঙ্গে রক্ত গেলে কী করবেন ?

Image
শীতকালে ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি লেগে থাকে। কফ জমে গেলে সেটি দীর্ঘদিন ভোগায়।  নানা ওষুধেও কাশি সহজে দূর হয় না। অনেকের কাশির সঙ্গে রক্তও যায়। যেটিকে রক্তকাশি বলা হয়। রক্তকাশি রোগী ও চিকিৎসক উভয়ের জন্যই একটি ভীতিকর লক্ষণ। এ রকম মনে হলে প্রথমেই কাশিতে রক্তের পরিমাণ দেখতে হবে। যদি ২৪ ঘণ্টায় ৫০০ মিলি বা তার বেশি রক্ত যায়, তাকে ম্যাসিভ বা বৃহদায়তন রক্তকাশি বলে।  এ ধরনের রোগীর মৃত্যুঝুঁকিও থাকে।  কফের সঙ্গে রক্ত গেলে আতঙ্কিত হওয়ারই কথা। কাশতে কাশতে রক্ত যাওয়া মানেই যক্ষ্মা- ধারণাটি কিন্তু ঠিক নয়। যদিও আমাদের দেশে যক্ষ্মার হার অনেক বেশি এবং কফের সঙ্গে রক্ত গেলে যক্ষ্মা পরীক্ষা করা জরুরি।  তবু ভুলে গেলে চলবে না যে, যক্ষ্মা ছাড়াও এ সমস্যার আরও নানা কারণ থাকতে পারে। দীর্ঘদিনের কাশি, প্রচুর কফ নিঃসরণ, সঙ্গে রক্তপাত, যক্ষ্মা বা ফুসফুসে প্রদাহের পুরনো ইতিহাস থাকলে ব্রংকিয়েকটেসিস নামের এ ধরনের রোগের কথা ভাবা হয়। সাধারণ এক্স-রের চেয়ে বুকের সিটি স্ক্যানে এ রোগ ধরা পড়ে ভালো।  সাধারণ নিউমোনিয়াতেও হঠাৎ অনেক জ্বর, বুকব্যথা ও কাশির সঙ্গে মরিচা রঙের কফ হতে পারে। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, দুর্গন্ধয...

শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমে গেলে কী হয় ?

Image
ক্যালসিয়াম হচ্ছে আমাদের শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গসমূহকে সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে খনিজ ও ভিটামিন। আর এ কারণেই সঠিক ও সুষম খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। ক্যালসিয়ামের অভাবে বিভিন্ন রোগ ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। আর দীর্ঘমেয়াদি এটির ঘাটতির কারণে দাঁতের পরিবর্তন, মস্তিষ্কে পরিবর্তন, অস্টিওপোরোসিসের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণে হাইপোক্যালসেমিয়া হয়ে থাকে, যা ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রোগ নামেও পরিচিত। এটি সাধারণত রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কম থাকলে ঘটে থাকে। প্রথমে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এসব সমস্যার চিকিৎসা না নিলে বা ক্যালসিয়ামের ঘাটতি অনবরত হতে থাকলে সেটি জীবনের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। তাই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তার প্রতিকার নিতে হবে। আসুন জেনে নিই ক্যালসিয়ামের ঘাটতিতে কী হয়— ১. পেশির সমস্যা ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণে পেশির বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। পেশিতে ব্যথা, খিঁচুনি এবং নড়াচড়া করার সময় উরু ও বাহুতে ব্যথা, হাত-বাহু-পা এবং পায়ের পাশাপা...

উট সম্পর্কে বিস্ময়কর তথ্য

Image
"উটের দিকে তাকিয়ে দেখেছ, কীভাবে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে ?” (সূরা গাশিয়াহ ১৭) ১) উট প্রকৃতির এক মহাবিস্ময়, এটি ৫৩ ডিগ্রি গরম এবং মাইনাস-১ ডিগ্রি শীতেও টিকে থাকে। ২) মরুভূমির উত্তপ্ত বালুর উপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা পা ফেলে রাখে। ৩) কোনো পানি পান না করে মাসের পর মাস চলে। ৪) মরুভূমির বড় বড় কাঁটাসহ ক্যাকটাস খেয়ে ফেলে। ৫) দেড়শ কেজি ওজন পিঠে নিয়ে শত মাইল হেঁটে পার হয়। উটের মত এত অসাধারণ ডিজাইনের প্রাণী প্রাণীবিজ্ঞানীদের কাছে এক মহাবিস্ময়। মানুষসহ বেশিরভাগ স্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহের তাপমাত্রা সাধারণত ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট) এর আশেপাশে থাকে। যদি দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বেড়ে ৩৮.৫ ডিগ্রির (১০২ ফা) বেশি হয়ে যায়, তখন অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর ক্ষতি হতে থাকে। ৪০ ডিগ্রির (১০৪ ফা) বেশি হয়ে গেলে লিভার, কিডনি, মস্তিষ্ক, খাদ্যতন্ত্র ব্যাপক ক্ষতি হয়। ৪১ ডিগ্রি (১০৫ ফা) তাপমাত্রায় শরীরের কোষ মরে যেতে শুরু করে। একারণেই যখন স্তন্যপায়ী প্রাণীদের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেড়ে যায়, তখন শরীর ঘেমে বাড়তি তাপ বের করে দিয়ে ঠাণ্ডা হয়ে যায়। কিন্তু উটের জন্য এভাবে পানি অপচয় করা বিলাসিতা। কারণ ম...

বিশ্বের সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবার

Image
কোন খাবারে পুষ্টি নেই? এ প্রশ্নের উত্তর দেয়া সহজ নয়, কারণ আমরা যেসব ফল বা শাকসবজি খেয়ে থাকি তাদের প্রত্যেকটিতে কিছু না কিছু পুষ্টি রয়েছে। কিন্তু কিছু খাবারে পুষ্টির পরিমাণ এত বেশি যে এগুলো সুপারফুড হিসেবে খ্যাত হয়েছে। এসব পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলে দেহের সমগ্র স্বাস্থ্যের উন্নয়ন হয় ও রোগ থাকে বহুদূরে। যুক্তরাজ্যের গবেষকরা তাদের গবেষণায় এমনই কিছু খাবারের তালিকা করেছেন। এ প্রতিবেদনে বিজ্ঞানের আলোকে বিশ্বের সবচেয়ে পুষ্টিকর কিছু খাবার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। অ্যালমন্ড ও আখরোট : সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবারের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে এই দুটি বাদাম। ফ্যাটি অ্যাসিডের সবচেয়ে ভালো উৎস। হার্ট ও রক্তনালীর স্বাস্থ্য উন্নত করে। আতাফল: সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবারের দ্বিতীয় তালিকায় রয়েছে আতাফল। এতে রয়েছে চিনি, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২ এবং পটাসিয়াম। বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ: সামুদ্রিক কই বা পোয়া মাছ, কড মাছ, নীল পাখনার টুনা সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবারের মতো অন্যতম। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের স্যামন, ইল, সামুদ্রিক চিতল বা ফ্ল্যাট ফিশ পুষ্টিগুণের জন্য এই তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। চিয়া সিড বা তিসি বীজ...

সিস্ট কী ? এর চিকিৎসা পদ্ধতি কেমন ?

Image
সিস্ট কী বার্থোলিন গ্ল্যান্ড বা গ্রন্থি মেয়েদের ভ্যাজাইনা বা যোনিদ্বারের পাশে ২ দিকে অবস্থিত মটরদানার মত আকারের দুটি গ্ল্যান্ড। এদের কাজ হলো যৌন উত্তেজনা বা মিলনের সময় লুব্রিকেশনের জন্য রস নিঃসরণ করা। অনেক সময় চোট লাগা বা অন্য কোনো কারণে এই গ্ল্যান্ডের মুখটি ব্লক হয়ে গেলে, এর নিঃসৃত রস ভেতরেই জমে গ্ল্যান্ডটি আস্তে আস্তে ফুলে ওঠে। যেহেতু এতে কোনো ব্যথা হয়না তাই যতক্ষন না ফোলা খুব বড় হয়ে যাচ্ছে বা তাতে ইনফেকশন/সংক্রমণ না হচ্ছে ততক্ষণ রোগী নিজেও টের পায় না। একেই বলে বার্থোলিন সিস্ট। নীচে ছবিতে দেখুন: সিস্ট এর চিকিৎসা পদ্ধতি  সিস্ট অবস্থায় চিকিৎসা করলে সহজে সেরে যায়। অনেকদিন চিকিৎসা না করে ফেলে রাখলে সিস্টে ইনফেকশন হয়ে অ্যাবসেস হয়ে যেতে পারে। ভেতরে পুঁজ জমে, লাল হয়ে ফুলে ওঠে, সঙ্গে অসহ্য যন্ত্রণা-হাঁটতেও সমস্যা হয়। এই অবস্থায় সার্জারি ছাড়া সারা মুশকিল। যখন সিস্ট অবস্থায় থাকে তখন গরম সেঁক, বা সিটজ (Sitz) বাথ দেওয়া যেতে পারে। এতে বাথটাবে বা গামলায় গরম জল ভরে, কখনো কিছু সুথিং ওষুধ দিয়ে নির্দিষ্ট সময় বসে থাকতে হয়। অ্যাবসেস হলে Incision and drainage করা যেতে পারে, যাতে সার্জেন স্ক্যালপেল দ...