কলার খোসার ব্যাবহার

কলার খোসার ব্যাবহার

কাঁচা হোক আর পাকা, খাবার হিসেবে কলা যেমন সুস্বাদু, তেমনই স্বাস্থ্যকর। কিন্তু কলার খোসা? বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কলা খাওয়ার পর খোসার জায়গা হয় ময়লার বাক্সে। কিন্তু ফেলে না দিয়ে দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করলে এই কলার খোসাই হয়ে উঠতে পারে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

জুতা পলিশ করতে

নিয়মিত পলিশ না করলে নতুন জুতার অবস্থা হতে পারে বেহাল। সেই জুতা ঠিক করতে আপনাকে বাক্স–পেটরা খুলে বসতে হবে না। কিংবা ছুটতে হবে না চর্মকারের কাছে। একটা কলার খোসা নিন। ভেতরের অংশ দিয়ে পলিশ করে ফেলুন জুতা। দেখবেন একেবারে নতুনের মতো চকচক করছে। এ ক্ষেত্রে পাকা কলার খোসা থেকে কাঁচা কলার খোসা বেশি কার্যকর।

ময়েশ্চারাইজার হিসেবে

কলার মতো এর খোসাও অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন এ, বি, সি ও ই–সমৃদ্ধ। শুষ্ক ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। বিশেষত শীতকালে পায়ের গোড়ালির শুষ্ক ত্বকের জন্যও কলার খোসা উপকারী।

দাঁতের উজ্জ্বলতা বাড়াতে

দাঁত থেকে হলদে ভাব দূর করার জন্য কলার খোসা বেশ উপকারী। পেস্ট–ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজার আগে কলার খোসার ভেতরের দিক দিয়ে কিছুক্ষণ দাঁত মাজুন। এরপর ৫ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে দাঁত পরিষ্কার করে ফেলুন। এ সময় যতটা সম্ভব ঠোঁট খোলা রাখার চেষ্টা করবেন। কলার খোসা দিয়ে টানা এক সপ্তাহ দাঁত মাজলে পরিবর্তনটা নিজেই বুঝতে পারবেন।

বাগান পরিচর্যায়

প্রাকৃতিক সার হিসেবে কাজে দেবে কলার ফেলে দেওয়া খোসা। কলার খোসায় থাকা পটাশিয়াম ও ফসফরাস গাছের বৃদ্ধিতে বেশ উপকারী। এ ছাড়া পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে গাছকে রক্ষা করে কলার খোসা। গাছ থেকে অ্যাফিড–জাতীয় পোকামাকড় দূর করতে কলার খোসা কেটে মাটিতে পুঁতে দিন। অ্যাফিড–জাতীয় পোকামাকড় গাছের পানি শুষে নেয়। কলার খোসায় থাকা পটাশিয়াম এদের আশপাশে ভিড়তে দেয় না।

প্রাথমিক চিকিৎসায়

কলার খোসায় থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। এই উপাদান প্রাথমিকভাবে জ্বালাপোড়া, পোকামাকড়ের কামড়ের জ্বলুনি কমাতে সাহায্য করে। তাই পোড়ামাকড় কামড়ালে, র‍্যাশ হলে কিংবা জ্বলুনি হলে সে জায়গায় প্রাথমিকভাবে কলার খোসা ঘষলে আরাম দেবে।

ঘরবাড়ি ও অলংকারের সৌন্দর্য বাড়াতে

ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ও শো-পিস পরিষ্কারের কাজে দারুণ কার্যকর কলার খোসা। কলার খোসায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দীর্ঘদিনের জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে। এ ছাড়া রুপার নানা অলংকার ঘষে পরিষ্কার করলে, তা আরও টেকসই ও মসৃণ হয়।

কলার খোসাও প্রোটিনে ভরপুর

কলার মতো এর খোসাও প্রোটিনে ভরপুর। খাবার হিসেবে যদি কলা খাওয়া যায়, তবে কলার খোসাই–বা বাদ যাবে কেন? তাই তা ভালোমতো ধুয়ে জুস হিসেবে কিংবা সবজি হিসেবেও খাওয়া সম্ভব। 

Comments

Popular posts from this blog

Cambodia Tour

Burj Al Arab - A global icon of Arabian luxury

How To Reduce Hotel Expenses

Top 5 Attractive Places In Paris

Places To Visit In Kolkata

E-Passport

Top Islands in Bangladesh

Dubai Desert Safari

Best Places For Sky Diving In The World